CLICK HERE
বিসমিল্লাহির রাহমাণীর রাহীম
সবাইকে সালাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের দিনের প্রথম ও শেষ পোষ্ট। আজকের দিনের প্রথম পোষ্টটি কোন সফটওয়্যার বা ইনকাম সাইট রিভিউ নিয়ে লেখা নয়। অনলাইনে আমরা অনেকেই ইনকাম করি এই ইনকামের অর্থ বিভিন্ন কার্ড বা একাউন্টের সাহায্য যেমন- এলার্টপে, পেপাল, মানিবুকার্স ইত্যাদির মাধ্যমে নিজের পকেটে আনা যায়। কিন্তু সমস্যা হল -অনেকেই ঠিক করে বুঝতে পারছেন এখানে কি
ভাবে একাউন্ট ওপেন করতে হয়, কি সুবিধা-অসুবিধা আছে, দরকারী কোন পরামর্শ অআছে কিনা ইত্যাদি। এই সাইটে ইতিপূর্বে হয়ত অনেক ব্লগার ভাই এই বিষয়ে পোষ্ট করেছেন। আপনারা সেইগুলো পড়ে অনেকটা ইতিবাচক ধারনা পেয়েছেন বলে মনে করছি। যাইহোক আবার অনেকেই আছেন- যাদের মনে এখনো সচিত্র প্রতিবেদন ও এর ব্যবহার জানার জন্য মনে উসখুস করছে। তাই আজকের তাদের জন্য এই পোষ্ট কাষ্টমাইজ হিসাবে প্রকাশ করছি। আশা করি অনেকের উপকারে আসবে। ইনকামের টাকা/অর্থ পাবার অনেকগুলো মাধ্যম আছে- যে গুলো পূর্বেই উল্লেখ করেছি। এর মধ্য বর্তমানে বাংলাদেশী তথা আপনাদের উপকার স্বার্থে ও সুবিধার প্রেক্ষিতে আজকে এলার্ট পে নিয়ে আলোচনা করব। ইতিপূর্বে পিসি হেল্প লাইনে বিভিন্ন পোষ্টের কমেন্টে অনেক ভাই/বন্ধুরা অনুরোধ করেছিলেন- কি ভাবে এলার্টপে একাউন্ট পেতে পারি বা ওপেন করতে পারি। আজকে তারা এই সুযোগটি গ্রহন করতে ভূলবেন না। তবে এই পোষ্টটি বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখব- আপনারা কাজ শুরু করবার পূর্বে প্রথমত আমার এই পোষ্টটি একবার ভাল করে পড়ে নিন। কোথায় কি সমস্যা বা দরকারী পরামর্শ আছে তা নোট করে নিন- একার মুল আলোচনায় আসি-
এলার্ট পে একাউন্ট
প্রথমত জানা যাক- এলার্ট পে কি?
এলার্ট পে একটি পেপালের মতই ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সহজ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। মুলত যারা নেটের বিভিন্ন সাইটে ইনকাম করেন তারা তাদের অর্থ গ্রহনের জনন্য, পাবার জন্য এলার্ট পে ব্যবহার করেন। এলার্টপের সদর দপ্তর বাড়ী কানাডাতে।অর্থাৎ এটি একটি কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান।২০০৪ সালে মাত্র ৬ জন কর্মচারী নিয়ে এলার্ট পে যাত্রা শুরু করে। এখন এটি বর্তমানে প্রায় ২৫০ জনের অধিক কর্মচারী ও ১ কোটির বেশী গ্রাহক নিয়ে একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ নতুন ব্যবহারকারী এলার্ট পে সাইটে রেজি করছে।বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশে এর সার্ভিস চালু রয়েছে। এখানে প্রায় ২৫ টি মুদ্রায় অর্থ লেনদেন করা যাবে।তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের ৫২ টি দেশে জোনাল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকেন।
ছবি- কারেন্সীর (মুদ্রা)
বাংলাদেশকে এলার্ট পে কতটুকু সাপোর্ট করে?
বর্তমানে বাংলাদেশকে ইন্টারনেট লেনদেনের সাপোর্ট হিসাবে এলার্ট পে গ্রহন করেছে। এখন বাংলাদেশী যে কোন ইউজারই এলার্ট পে থেকে টাকা গ্রহন বা লেনদেন করতে পারবেন। যদিও বাংলাদেশে এর কোন অফিস কার্যক্রম নাই তাতে কোন সমস্যা নাই। কেননা, গ্রাহকরা যখন এই সাইটে রেজি করবেন তাতে বাংলাদেশ হিসাবে শো করবে। সুতরাং প্রমাণ হিসাবে বলা যায় এলার্ট পে কর্তৃপক্ষ আমাদের সোনার বাংলাদেশকে বরণ করে নিয়েছেন। তারা যদি আমাদেরকে একসেপ্ট না করতেন তাহলে সেখানে বাংলাদেশ লেখা থাকত না। যেমন- আপনি পেপাল সাইটে যান সেখানে রাজি করবার সময় Country হিসাবে Bangladesh পাবেন না। তবে আপনাদের জন্য সুখবর হল- এলার্টপে সম্প্রতি বাংলাদেশী গ্রাহকদের জন্য এলার্টপে মাষ্টারকার্ড ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। এবং অতি দ্রুতভাবেই তারা এই দেশে অফিস কার্যক্রম শুরু করবে।
কি ভাবে একাউন্ট তৈরি করবেন?
এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট তৈরির সুযোগ দিয়ে থাকে তথা-
1. Personal Starter
2. Personal Pro
3. Business
এর মধ্য যে কোন একটিতে বিনামূল্য রেজিঃ করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময়ে একাউন্ট পরিবর্তন বা আপগ্রেড করা যায়।তিনটি একাউনটের সাহায্য নিরাপদে কেনাকাটা করা ও বিনামূল্য অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। অবশ্য এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে যেমন-
১. Personal Starter - এই ধরনের একাউনটের একমাত্র সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা দিতে/নিতে কোন ফী লাগেনা। তবে এখানে কোন ক্রমেই ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা পাওয়া যাবে না। এবং মাসে ৪০০ ডলারের বেশী অর্থ গ্রহন করা যাবে না এবং সব পেমেন্টসহ ২০০০ ডলারের বেশী অর্থ গ্রহন করা যাবে না।
২. Personal Pro- যারা ফ্রিল্যান্স বা অন্য সাইটে কাজ করেন তারা এখানে সকল ধরনের সুবিধা পাবেন। এথানে টাকা গ্রহন বা প্রেরনের কোন সীমাব্ধতা নাই। তবে এখানে অন্য এলার্ট পে ইউজার থেকে টাকা গ্রহন করলে ২.৫% + ০.২৫% ডলার ফী দিতে হয়। এর আরেকটি সুবিধা হল- ব্যবহারকারীর নিজের কোন ওয়েব সাইট বা ব্লগ থাকলে এলার্ট পে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন ও গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
3. Business- এই একাউন্টির সাহায্য আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টির সাহায্য একাধিক ব্যবসায় পরিচালনা করা যায়। এবং অন্য সকল সুবিধা ও সার্ভিস চার্জ Personal Pro একাউন্টের মতই। আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে নিম্নরুপ একটি চিত্র প্রদর্শন করছি।এখানে যাবতীয় সুবিধা, সার্ভিস চার্জ ও ফী এর
তালিকা দেয়া আছে-
আপনি কোন একাউন্টটি ওপেন করবেন?
এখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন কোন একাউন্ট টি গ্রহন করবেন উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে। তবে আমার পরামর্শ হল-
১। আপনি প্রথমত রেজিষ্ট্রেশনের সময় Personal Pro একাউন্টটি গ্রহন করুন। এখানের সুবিধা হল- এলার্টপে একাউন্টের রেফারেলের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এটিতে সকল কিছুই ফ্রী! কেবল একজনের কার্ড হতে আরেকজনের কার্ডে অর্থ আনতে কিছু চার্জ কাটা হয়। আবার টাকা গ্রহন করতে কোন সীমাবদ্ধতা নাই।যারা Personal Pro ইউজার। কিন্তু এখানে Personal Starter হলে উক্ত কাজটি করতে পারবেন না। আপনি আরেকটি চালাকী করতেও পারেন সেটি হলো- প্রথমে Personal Pro একাউন্টটি গ্রহন করুন। যখন দেখবেন, একাউন্টে ৪০০ ডলারের কম আছে তখন Personal Pro কে আপগ্রেড করেPersonal Starter এ- ফিরে যেতে পারবেন। এখন এটি আপনাদের সিদ্ধান্ত। এলার্টপের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় তা আমার এই পোষ্টের পরবর্তী অংশটুকু পড়ুন। একটি কথা মনে রাখুন- প্রথমভাবে একবার Personal Starter ফ্রি একাউন্ট ওপেন করলে কাউকে রেফারেল দিয়ে সহজে আয় করতে পারবেন না। তাহলে এবার কাজ শুরু করা যাক- এলার্টপের মাধ্যমে ইনকাম কাজ শুরু করবার পূর্বে একটি কথা! অআপনারা হয়ত অনেকে শুনে আশ্চর্য হবেন যে, এলার্ট পে একাউন্ট করার পাশাপাশি অর্থ ইনকামও করা যায়। অর্থা এলার্টপে একাউন্ট আমাদের পকেটে অর্থ গ্রহন করবার সুযোগ করে দিচ্ছে আবার ইনকামের পথ ও বাতলে দিচ্ছে। কি মজাটাই না!! এক ঢিলে ২ পাখি মারা। এই সুযোগটি সবাই ইচ্ছামতো কাজে লাগাতে পারবেন না।-কিছু নিয়ম নীতির ব্যাপার আছে- এখন আমি আপনাদেরকে সেটি বলব। এটি করতে হলে যিনি এলার্টপের বৈধ গ্রাহক তার রেফারেল দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।অর্থাৎ এলার্টপেতে ঐ গ্রাহককে একাউন্টের মেয়াদ প্রায় ৩ মাসের বেশী হতে হবে।এবং মিনিমাম হলেও একবার অর্থ উত্তলোন করেছেন এমন হতে হবে। তারপর আপনি ঐ রেফারেলে গ্রাহক হলে পরবর্তী আপনার বন্ধু বা পরিচিতদের আপনার রেফারেল দিয়ে কিছুটা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে রেফারেল হিসাবে-প্রায় ০.১২ ডলার হিসাবে পাওয়া যায়। একাউন্ট ওপেন করবার পূর্বে কিছু পরামর্শ- ১। একাউন্ট ওপেন করবার পূর্ব কিছু নিয়ম নীতি আছে। সেই গুলো একটু নোট করে নিন- যেমন- ১। একাউন্টে আপনার যে নাম দিবেন তা ঠিক করে নিন।এখানে পক্সি হিসাবে কারোর নাম দিবেন না। বা ভূয়া একাউন্ট ওপেন করতে যাবেন না।কারন এটা কোন ভাওতাবাজী সাইট নয়। প্রতিটি কাজের এখানে ভেরিফিকেশন করা হয়। তাই সাবধান! ২। বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছেন বা ভোটার হিসাবে অন্তভূক্ত হয়েছেন তারাই এই একাউন্ট ওপেন করার উপযুক্ত। এখানে যে নাম দিবেন তা ভোটার অআইডি অনুসারে দিতে হবে। মিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এখানে মুল ব্যাপার নয়। বিশেষ করে এলার্ট পেতে যখন টাকা উঠাতে যাবেন সেখানে ব্যাংক একাউন্ট ও এলার্টপে একাউন্টে কিন্তু একই নাম হতে হবে। সঠিক না হলে কোনভাবেই অর্থ উত্তলোন করতে পারবেন না। অবশ্য এখানেও ভেরিফিকেশনের ব্যাপার আছে। যারা ব্যাংকে এর মাধ্যমে টাকা উঠাতে যাবেন বিশেষ করে চেক নিয়ে সেখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অআপনার ভোটার অআই.ডি চাইবেন। ৩। আমি নিজেও অবশ্য এমন অসুবিধার সম্মুখে পড়েছিলাম। আমি একটি সাইটে ইনকাম এর কাজ করতাম। সেখানের একাউন্টে আমার নাম সনদপত্রনুসারে লিখেছিলাম। যথন ব্যাংকে গেলাম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে টাকা প্রেরন করলেন না। বললেন, আপনার ভোটার আই.ডি কার্ড সংশোধন করে নিয়ে আসুন। মূল ব্যাপরা হল- আমার ভোটার আইডি ও সার্টিফিকেটে নাম একই রকম ছিল। কিন্তু সেখানে নামের অক্ষরের হেরফের ছিল বলে এই সমস্যা হয়েছিল। পরবর্তীতে কষ্ট করে আমাকে পূনরায় একাউন্ট করতে হয়েছিল। ৪। মুলত এমন কিছু সাইট আসে যেখানে কোনভাবেই নিজের নাম ও মেইল ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়না। যেমন- এলার্ট পে, পেপাল।তাই এখানে সঠিকভাবে কাজটি করতে হয়। ৫। এলার্ট পে একাউন্ট করতে নতুন করে একটি মেইল একাউন্ট ওপেন করে নিয়ে কাজটি করলে ভাল হয়। আর এই মেইল একাউন্টির প্রমান হল আপনিই এলার্টপে একাউন্টের মালিক ও আপনিই অর্থ পাবেন। অবশ্য যাদের পূর্বে মেইল একাউন্ট আছে সেটি থেকে করলেও সমস্যা নাই। ৬। প্রথমত এলার্ট পে একাউন্টে রেজি এর সময় নাম, সেইল ঠিকানা সঠিক করে দিবেন। কেননা, ভূল হলে পরবর্তীতে কোনভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না।অন্য ঠিকানা বা তথ্য গুলো পরিবর্তন করা যাবে। ৭। রেজি এর ২য় পর্যায়ে একটি পিন নম্বর দিতে বলবে। এখানে আপনার পচ্ছন্দনীয় ৬/৮ সংখ্যার পিন নং দিন। এখানে আপনি আপনার পরীক্ষার রেজি বা রোল নং হিসাবে দিতে পারেন। আমি কিন্তু আমার বিশ্বৰ রোল নং ব্যবহার করেছি যাতে মনে থাকে। তাছাড়া পিন নম্বরটি লেখা রাখা ভাল। আপনি যদি পিন নম্বর ভুলে যান তাহলে কোনভাবেই নতুন পিন নিতে বা পরিবর্তন করতে পারবেন না। আবার এলার্ট পে থেকে কোন সমাধান পাবেন না। তাই এখানে বিফলে গেলে আরেকটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। ৮। রেজিঃ শেষ পর্যায়ে ক্যাপচা কোড পরিবর্তন করতে হয় এটি অনেক ঝামেলার কাজ। ক্যাপচা সঠিক পূরন না হলে একাউন্ট তৈরি হবে না। আসলে এলার্টপেতে ক্যাপচা বুঝতে অনেক অসুবিধা সৃষ্টি করে। এখানে পরামর্শ হল- আপনি যে ক্যাপচাটি বুঝতে পারছেন সেটি দিবেন না। ঐ ক্যাপচা পরিবর্তন করে অন্য ক্যাপচা দিয়ে কোড পূরন করুন যেটি বুঝতে পেরেছেন। অনেক আলোচনা হল- তাহলে এবার মুল কাজ শুরু করা যাক-২। যে একাউন্টি ওপেন করতে চান সেটিতে ক্লিক করুন । ডান পাশে সবুজ চিহৃ দেখাবে। অতপর l Next এ-ক্লিক করুন। রেজিঃ এর জন্য নতুন আরেকটি উইন্ডো আসবে- ৩। এখানে আপনার যাবতীয় তথ্য লিখতে হবে যেমন- ১. Sollution- এখানে MR. or, Mrs যে কোন একটি সিলেক্ট করুন ২. নামের ক্ষেত্রে ১ম ও শেষ অংশ নিদিষ্ট ঘরে লিখুন। যেমন- কারো নাম যদি হয় Nowrin afroj pompa তাহল প্রথম অংশে Nowrin afroj ও pompa শেষ আংশে লিখতে হবে। ৩. Region- এখানে অঞ্চল উল্লেখ করতে হবে। এখানে আপনি ASIA দিন বা অন্য কিছু দিতে পারেন। 4. Postal Code- নিজ এরিয়ার পোষ্টাল কোড দিন যেমন-৬১০০ 5. Home Phone- এখানে আপনার বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি দিন। মনে রাখবেন পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট Verification করতে হলে এই নম্বরটি সচল থাকতে হবে। 6. Occupation- এখানে Student হিসাবে সিলেক্ট করুন 7. Date of Birth- এখানে আপনার জন্মতারিখের তথ্যগুলি দিন। যেমন- ১০/১০/১৯৯০ (উল্লেখ্য- এখানে আপনার নাম ও মেইল ঠিকানা বাদে পরবর্তীতে একাউন্ট প্রোফাইল থেকে সবকিছুই আপডেট করতে পারবেন।) ৪। সবকিছু পূরন করে Next এ-ক্লিক করুন। অতপর রেজি ২য় ধাপের উইন্ডো আসবে- এখানে- Email Address- আপনার মেইল ঠিকানা দিন। Pasword & Re enter password- পাস ওয়ার্ড দিন। এখানে কিন্তু মেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড নয়।নতুন পাসওয়ার্ড দিতে হবে। রি-টাইপে একই পাসওয়ার্ড দিতে হবে। Transaction PIN- নিদিষ্ট কোন সংখ্যার নম্বর দিন। যেমন- ৯০৭৬২০ Re enter Transaction PIN- একই নম্বর দিতে হবে। Password recovery- এই অপশন থেকে একটি প্রশ্ন সিলেক্ট করুন । Answer- এখানে তার উত্তর লিখুন Third party Information- Yes/NO। ।এখানে NO সিলেক্ট করে রাখাই ভাল। আমি একাউন্ট ওপেন করার সময় NO সিলেক্ট করেছিলাম। Word verification- এখানে সঠিকভাবে ক্যাপচা পূরন করতে হবে। পরিশেষে You acnowldge that You have read ……… Alert pays তে টিক মার্ক দিন। ৫। Final Step – এ ক্লিক করুন। ৬। এখানে আপনি যে মেইল ঠিকানা দ্বারা রেজিঃ করেছেন সেখানে মেইল verification হিসাবে একটি ম্যাসেজ যাবে। এখানে আপনার এলার্ট পে একাউন্ট Active করার লিংক থাকবে। ঐ লিংকে ক্লিক করলে Alert pay এর পেজ ওপেন হবে এবং আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। অতপর আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার এলার্টপে একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। মেইল verification সঠিক হলে একটি Thank You/Welcome হিসাবে ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে। ব্যাস! আপনার এলার্ট পে একাউন্ট তৈরি করার কাজ সম্পূর্ণ শেষ। এখন আর কোন চিন্তা নাই! নিশ্চিন্তভাবে আপনার এই একাউন্ট দ্বারা অর্থ লেনদেনের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করাতে পারবেন। Note- সব সময় মনে রাখবেন আপনার যে ইমেইলটি দিয়ে এলার্টপেতে সাইন করেছেন ঐ ইমেইল একাউন্টটি পুরোটাই আপনার এলার্টপে এড্রেস। - আপনার এই একাউন্ট কিন্তু কোন সময় নষ্ট হবে না। অর্থাৎ কিছু সাইট থাকে যেখানে প্রতি ২ মাস অন্তর সেখানে প্রবেশ না করলে একাউন্ট ডিলেট হয়ে যায়। এলার্টপে কিন্তু এই সকল সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। - কিন্তু এলার্টপেতে যদি কোন এমাউন্ট নিয়ে আসেন তাহলে তা প্রতি ১৮ মাসের মধ্য কার্ড বা চেক দ্বারা অবশ্যই উত্তলোন করতে হবে। যদি না করেন-তাহলে ১৮ মাসের পর থেকে প্রতিদিন নিদিষ্ট হারে আপনার একাউন্ট থেকে এলার্ট পে কর্তৃপক্ষ চার্জ কেটে নিবেন। ৭। এখন প্রতি সময়ে এলার্টপেতে লগইন করার সময় নিম্নরুপ উইন্ডো এন্টারফেস আসবে- এভানে মেইল ঠিকানা ও পাস ওয়ার্ড দ্বারা একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। ৮। মনে করলাম আপনি এই মুহুতে আপনার এলার্টপে একাউন্টে প্রবেশ করেছেন- এখানে আপনার প্রোফাইলে ক্লিক করে যাবতীয় তথ্যাদি জানতে পারবেন। আপনার এলার্টপে একাউন্টকে কিভাবে ভেরিফাই করবেন? এবারতো আপনার একাউন্ট তৈরি হল। ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে শুধু একাউন্ট তৈরি করলেই হবে না। ভেরিফিকেশন করার ব্যবস্থা করতে হবে।ভেরিফিকেশন না করলে কোন অবস্থাতেই আপনার এলার্টপে একাউন্ট দ্বারা লেনদেনের উপযোগী করতে পারবেন না। মুলত ভেরিফিকেশন হল- এলার্টপে কর্তৃপক্ষ আপনাকে পরীক্ষা করবেন আপনি এলার্টপের বৈধ গ্রাহক কিনা? একবার ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আর কখনোই ভেরিফিকেশনের দরকার হয়না। তাহলে এবার দেখাব কিভাবে অআপনার এলার্টপে ভেরিফিকেশন করবেন। এলার্টপে তে মূলত ০৩ ধরনের ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থা আছে তথা- ১. Bank Transfer or Bank wire (Swift) Deposit- এখানে ব্যাংক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে যাচাই করা হয়ে থাকে। যারা কোন ব্যাংকের গ্রাহক তাদের সেই ব্যাংকের এখানে (Swift)কোড প্রবেশ করাতে হয়। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোকে এলার্টপে কর্তৃপক্ষ (Swift)কোডের ভেরিফিকেশন করতে এখনো প্রয়োজন মনে করেনি।তাই এখানে বাংলাদেশ অন্তভূক্ত নাই। ২. Credit Card Validtation- এখানে যারা মাষ্টার কার্ড ব্যবহার করেন তারা ভেরিফিকেশন করাতে পারবেন। এখানে এলার্টপে তে আপনার মাষ্টার কার্ডের পিন প্রবেশ করাতে হবে। অতপর এলার্টপে আপনার মাষ্টার কার্ড থেকে কিছু ডলার কেটে নিবে। পরিশেষে এলার্টপে একাউন্টে গিয়ে ভেরিফিকেশনে জানাতে হবে কত ডলার কাটা হয়েছে। যদি তথ্য ঠিক দেন তাহলে একাউন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে গেল। ৩. Complete both- এখানে কেউ যদি A ও B অপশনের দুটোই ভেরিফিকেশন করাতে চান তাহলে এই অপশনটি কাজে লাগাতে হবে। ৪. Phone Validation- এই অপশনটি সবাই ব্যবহার করেন। আপনিও এই অপশনটি বেছে নিন। এখানে এলার্টপে কর্তৃপক্ষ অআপনার মোবাইল নম্বরে একটি গোপন কোড প্রেরন করবে। অতপর সেই কোডটি প্রবেশ করালে আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। এই কাজটি করতে আপনার একাউন্টে লগইন করুন। প্রোফাইলে ক্লিক করুন যেখানে লেখা আছে-Verification সেটিতে ক্লিক করুন। অথবা আপনার একাউন্টের নিচের মেনু Message Center থেকে Cheeck Your Verifications Status এ- ক্লিক করুন। নিচের চিত্রের মত- একটি নতুন উইন্ডো আসবে। সেখানে Phone Validation- অপশনটি বেছে নিন।এখানে মোবাইল নম্বরটি দিয়ে সেন্ড করলে আপনার মোবাইলে একটি কোড প্রেরন করা হবে। ঐ কোডটি নিদিষ্ট বক্সে লিখে OK করলে আপনার একাউন্টটি ভেরিফিকেশন হিসাবে Completed হিসাবে শো করবে। প্রাথমিকভাবে মোবাইল দিয়ে ভেরিফিকেশন করলেই হবে।পরবর্তীতে যদি মনে করেন মাষ্টার কার্ড দ্বারা ভেরিফিকেশন করবেন তা করা যাবে। ভেরিফিকেশন সঠিক হলে নিম্নরুপ চিত্র দেখাবে- কাজের কাজ হয়ে গেল। এখন আরও কিছু অপশন আছে সেইগুলো নিয়ে আপনি নিজেই কাজ করতে পারবেন। এলার্টপের কিছু অপশনের সাথে আপনাদেরকে পরিচয় করাব। মূলত আপনার একাউন্টে প্রবেশ করে যাবতীয় কাজ করতে পারবেন। এখানে MY Account/Profile সিলেক্ট রেখে যাবতীয় কাজ করতে পারবেন নিচের চিত্রনুয়ায়ী- সংক্ষেপে কিছু আলোচনা- Personal Information- এখানে আপনার যাবতীয় তথ্যদি রয়েছে। যদি প্রয়োজনে মনে করেন তাহলে তথ্যাদি আপগ্রেড করতে পারবেন।এখানে কাজ করলে নিম্নরুপ চিত্র পাবেন- Password- এখানে আপনি যে কোন মুহুর্তে Password পরিবর্তন করতে পারবেন। Transaction PIN- এটি পূর্বেই বলেছিলাম লেনদেনের ট্রানজেকশন। এটি পরিবর্তন করতে পারবেন। Email Addresses- এটির কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন না। Language Preference- ভাষা হিসাবে সিলেক্ট করতে পারবেন। তবে স্থায়ী হিসাবে ইংরাজীতে নির্বাচিত থাকে। Verification- এখানে আপনার একাউন্টকে ভেরিফিকেশন করাতে হয়। যা পূর্বেই আলোচনা করেছি। Downgrade/Upgrade Account- যে কোন সময় আপনার একাউন্টকে আপগ্রেড করতে পারবেন।অর্থাৎ Personal Free থেকে Personal Pro/Business-এ অথবা Personal Pro/Business থেকে Personal Free তে কনভার্ট করতে পারবেন।নিচের চিত্রনুয়ায়ী- Referrals- রেফারেল দ্বারা আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার পরিচিত বন্ধুদেরকে ইনভাইট করতে পারবেন।এটি প্রথমেই আমি আলোচনা করেছি। Close Account- অআপনি যদি মনে করেন পেপাল একাউন্ট চালাতে পারছেন না। তাহলে এই একাউন্টটি ডিলেট করতে পারবেন। ডিলেট করতে হলে পূর্বের Transaction PIN দিতে হবে। এখানে আপনার একাউন্ট কিন্তু চিরতরে ডিলেট হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যদি একই মেইল থেকে যদি পূনরায় এলার্টপে ওপেন করতে চান পারবেন না। কেননা, এলার্টপে কর্তৃপক্ষ আপনার মেইলকে আই.পি হিসাবে চিনে রেখেছে। তাই নতুন মেইল দ্বারা একাউন্ট ওপেন করতে হবে। আমার মতে, এটি না করাই ভাল। কেননা আপনার একাউন্ট তো অমর থাকবে। আপনি যদি ইনকাম বা লেনদেন নাও করেন কোন সমস্যা নাই। আশা করি আপনাদের একাউন্টের প্যানেল নিয়ে অনেক কিছুই জানলেন। প্রথমদিকে একটু বুঝতে সমস্যা হতে পারে। এই ভাবে ২/৩ দিন ঘাটাঘাটি করলে ব্যাপারটা সহজেই বুঝতে পারবেন। এলার্টপে থেকে কিভাবে টাকা পকেটে আনবেন? বা লেনদেন করবেন? এলার্টপে একাউনট থেকে ৪ টি ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। এইগুলো হল- 1. Cheeck 2. Credit Card/Master Card 3. Bank Transfer 4. Bankware এবার এইগুলো সম্পর্কে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করছি- পদ্ধতিগুলো হল – চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার। ১) চেক: এই পদ্ধতিতে একটি চিঠির মাধ্যমে চেক পাঠানো হয়। চেকের জন্য এলার্টপে-কে ৪ ডলার ফি দিতে হয় এবং একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার ২ দিনের মধ্যে একটি চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে, যা হাতে পেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চেকটি ডলারে পাঠানো হয় তাই যেসব ব্যাংক ডলারে চেক গ্রহণ করে সেখানে এটি জমা দিতে হবে। সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক থেকে টাকা তুলতে অল্প একটা ফি দিতে হয়, তবে সময় বেশি নিবে। আর বেসরকারী ব্যাংকে তুলনা মূলকভাবে বেশি ফি দিতে হবে কিন্তু সময় অনেক কম লাগবে। যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ড নেই তাদের জন্য এটি খুব দরকারি, সময় একটু বেশি লাগলেও ঝামেলা কম। প্রথম প্রথম যখন আপনার আয় কম থাকবে তখন এই পদ্ধতি ইউজ করতে পারেন। পরে আয় বাড়লে মাস্টার কার্ড নিয়ে নিতে পারেন। তবে সাবধান, আপনার এলার্ট পে অ্যাকাউন্টে আপনার ঠিকানা সঠিক ভাবে দিবেন এবং ” চেক” পাঠানোর আগে ঠিকানা ভালো ভাবে চেক করে দিবেন। ২) ক্রেডিট কার্ড: যাদের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হলেও এটি ডেবিট কার্ডও সাপোর্ট করে। এজন্য প্রথমে এলার্টপে সাইটে কার্ডটি যোগ করতে হবে। কার্ডটি যাচাই করার জন্য এলার্টপে আপনার কার্ড থেকে ১ থেকে ২ ডলারের মধ্যে একটি অর্থ এলার্টপে একাউন্টে নিয়ে আসবে। এরপর কত ডলার লেনদেন হয়েছে এবং সেই পরিমাণটি এলার্টপে সাইটে এসে একটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করাতে হবে। সঠিকভাবে ডলারের পরিমাণটি বলতে পারলে আপনার কার্ডটি অর্থ লেনদেনের জন্য উপযোগী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, আপনার এলার্টপে একাউন্টে অর্থ লেনদেনের মূল মূদ্রা হিসেবে ইউরো থাকলে কার্ড যাচাইয়ের পূর্বেই ডলারে পরিবর্তন নিতে হবে। অন্যথায় সঠিকভাবে কার্ডটি যাচাই হবে না। এলার্টপে থেকে কার্ডে প্রতিবার লেনদেনে ৫ ডলার ফি দিতে হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ ডলার উঠানো যায়, যা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কার্ডে সরাসরি চলে আসে। এরপর নিকটস্থ ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করে – যেমন DBBL, Standard Chartered Bank) থেকে যে কোন সময় টাকা তোলা যায়। ৩) ব্যাংক ট্রান্সফার: এলার্টপে থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা আনা যায় না। তবে যাদের Payoneer মাস্টারকার্ডে US Virtual Account নামক সার্ভিসটি আছে তারা এই পদ্ধতিতে মাত্র ০.৫ ডলারের বিনিময়ে কার্ডে টাকা আনতে পারেন। আর সময় লাগে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন। যারা এক বছর থেকে Payoneer কার্ডটি ব্যবহার করছেন তারা এই US Virtual Account এর জন্য Payoneer সাইটে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের First Bank of Delaware নামক ব্যাংকের একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে। এই ব্যাংকের সাথে মাস্টারকার্ডটি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ওই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায় তখন এটি সরাসরি আপনার কার্ডে জমা হয়ে যাবে। তবে এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনও অন্যকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না, শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে এই ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে প্রথমে Add Bank Account পৃষ্ঠায় গিয়ে দেশ হিসেবে United States সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Bank Transfer সিলেক্ট করে একাউন্টটির নাম্বার, ABA Routing নাম্বার, ব্যাংকের নাম ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে, যা Payoneer সাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরপর এলার্টপে থেকে আপনার একাউন্টে ১ ডলারের কম দুটি অল্প অর্থ পাঠানো হবে যা Micro Deposit নামে পরিচিত। দুই দিন পর Payonner সাইটে লগইন করে ডলার দুটি দেখতে পাবেন। এই দুটি লেনদেনের পরিমাণ এলার্টপে সাইটে এসে দুটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করতে হবে। সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে এলার্টপে থেকে টাকা দেশে আনতে পারবেন। ৪) ব্যাংক ওয়্যার: যাদের কোন ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই তারা এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন। এটি সাইটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডলার হলে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যাবে। ব্যাংক ওয়্যারের মাধ্যমে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। ব্যাংক ওয়্যারের জন্য প্রথমে সাইটে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার, ব্যাংক কোড, ব্রাঞ্চ কোড এবং SWIFT CODE যোগ করতে হবে, যা আপনার ব্যাংকে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। এলার্টপে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা কার্ড দিচ্ছে- অপরদিকে আমার এই পোষ্টের প্রথমদিকে আলোচনা করেছিলাম ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভাল খবর হল এলার্ট পে এখন ভিসা কার্ড দিচ্ছে। আপনি চাইলে আপনার কার্ডটি এখনই অর্ডার দিন। তবে কার্ডটি অর্ডার দেয়ার আগে ফি সম্পর্কে ভালভারে জেনে নিন- নিম্নরুপ চিত্রনুয়ায়ী- আসলে এর খরচের ব্যাপারটি অনেক বড়। তাই নিজেও সাহস করতে পারছিনা এই কার্ডটি গ্রহন করতে। তবে, আমার মতে যারা কম ইনকাম করেন বা প্রফেশনাল নই তাদের এটি প্রয়োজন নাই। তবুও অনেকের আশা জাগতে পারে- এর খরচ কিরুপ ও অন্যান্য তথ্যাদি সম্পর্কে- বাংলাদেশের জন্য প্রায় এক মাস পূর্বে এই সুবিধাটি এলার্টপে চালু করেছে। এখন বাংলাদেশ সহ প্রায় ৫০ টি দেশ এই ভিসা কার্ডের সুবিধা পাবেন-চিত্রটি নিম্নরুপ- কিভাবে এই ভিসা কার্ড পাওয়া যাবে? আপনার একাউন্ট প্রোফাইলে লগইন ভাবে প্রবেশ করলে সেখানে ভিসা কার্ড পাবার জন্য রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাবে। ঐখানে নির্দেশনা ভাবে কাজ করলে ভিসা কার্ড পাবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। সতর্কতা- ১। একবার ভিসা কার্ড ব্যবহারের পর পরবর্তীতে যদি ব্যবহারের জন্য অনুপযুক্ত রাখেন/ব্যবহার না করেন কিংবা কোন ফিস পরিশোধ করতে অক্ষম হন। তাহলে এলার্টপে কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ভাবে অআপনার এই সার্ভিসটি বন্ধ করে দিবেন। অথবা পূনরায় রিনিউ করতে হলে প্রায় দ্বিগুণ আকারে ফিস পরিশোধ করতে হবে। সুতরাং এখানে যারা ভিসা কার্ড করবেন তাদের এই দিকে সতর্কতার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। এলার্ট পে সম্পর্কে অনেক কথা লিখা হল। এখন আপনাদের এই পোষ্টটি কতটুকু উপকারে আসবে তা সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে যদি কোনো ভাই বা বন্ধুর উপকারে আসে তাহলে আমার এই লেখার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব। তাছাড়া এই পোষ্টটি করতে বহু বাণানের ভূল থাকতে পারে কিংবা উস্থাপনাতে অনাকাংখিত ভূল থাকলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবাণ রাখছি। আমার এই পোষ্টটি করতে অনেক বন্ধুরাই অর্থা আমাদের ব্লগটিমের সদস্যরা সহযোগীতা করেছেন- তাদের মধ্য মরিয়ম, সেতু, লাবণী, সুমন, অআসলাম, বুলবুল সহ অনেকেই সাহায্য করেছে ও অনুপ্রেরনা দিয়েছে। তাদের সকলকে অশেষ ধন্যবাদ। এখানে এই পোষ্টটি আমাদের মতামতনুসারে লিখেছি এবং কিছু মাসিক পত্রিকার রেফারেল নিয়েছি তথা- কম্পিউটার জগতের জনপ্রিয় আইটি লেখক- জনাব, মো জাকারিয়া চৌধুরী সাহেব। আমরা সবাই তার নিকট কৃতজ্ঞ
No comments:
Post a Comment